• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ পঞ্চগড়
  • উপজেলাঃ তেতুলিয়া

জহিরুল ইসলাম(৫০), একজন শ্রমিক, এটাই ছিল তার পরিচয়। নয়নজলিতে উদ্বাস্তু হিসেবে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিল জহিরুল। নদী থেকে পাথর তুলে সংসার চলতো তার। যৎসামান্য আয় দিয়ে নিজের জন্য একখণ্ড জমি ক্রয় ছিল দিবা স্বপ্নের মতো। এহেন অবস্থায় আশীর্বাদ হয়ে হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের একক গৃহ। উপজেলা প্রশাসন তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী গ্রামে গুচ্ছাকারে নির্মিত ৩০টি ঘরের মধ্যে আশ্রয়ণের ১ম ঘরেই তার অধিকার বুঝিয়ে দিল। এখন প্রতিদিন যেন হাসির কিরণ ছড়ায় সে গৃহের আঙ্গিনায়। একখণ্ড জমি, একটি আশ্রয়ণের ঘর, নিজের নামে দলিল, খারিজ দাখিলা শূন্য থেকে সব কিছুর মালিকানা যেন বহু বছর পর খুঁজে পাওয়া আপন এক ঠিকানা-আশ্রয়ণের ঘর। শুধু তাই নয়, এখন তার আর নদী থেকে পাথর তুলতে হয় না।ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আংশিক সহায়তায় তাকে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানের জোগান দেয়া হয়েছে।তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারে তাকে কমিউনিটি টুরিজমের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।ভ্যানে করে পর্যটকগণকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সুখেই দিন যাচ্ছে জহিরুল-সুলতানা দম্পতির।সন্তানের পড়াশোনার প্রতিও তার রয়েছে বিশেষ মনোযোগ। সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কৃতজ্ঞতা বোধে জহিরুল প্রতিদিন শুভকামনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি যিনি এমনিভাবে অসংখ্য মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন।