• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ কুড়িগ্রাম
  • উপজেলাঃ নাগেশ্বরী

মো: খোরশেদ আলম বয়স:৪০ পিং মো: আজাহার আলী ও তার স্ত্রী মোছা: রোজিনা বেগম বয়স: ২৫, এক পুত্র সন্তান ও বৃদ্ধ পিতা মো: আজাহার আলী বয়স: ৭০ ও মাতা মোছা: খোতেজা বেগম বয়স; ৬০ কে নিয়ে বর্তমানেকুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের সুখাতী খেরবাড়ী গ্রামে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পাওয়া গৃহে বসবাস করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরুপ  ঘর পাওয়ার আগের কথা জানতে চাইলে খোরশেদ আলমসহ বৃদ্ধ পিতা-মাতার চোখ জলে ভরে যায়। তারা জানায়, অন্যর জায়গায় খড়ের বেড়া ও পাটখড়ির ছাউনি দিয়ে একটি কাঁচা কুড়ে ঘর নির্মাণ করে খেয়ে না খেয়ে দূর্বিষহ  জীবন যাবন করতেন।  উপকারভোগীর মা খোতেজা বেগম জানান যে,  তার বৃদ্ধ স্বামী ও পুত্র সারাদিন গাঁয়েগতর খেটে যা উর্পাজন করতেন তার একটা অংশ মাস শেষে জমির ভাড়া হিসাবে প্রদান করতেন। কোন সঞ্চয় করতে পারেননি । বিশেষ করে শীত কিংবা বর্ষাকালে যখন প্রাকৃতিক দৃর্যোগ হতো, তখন তারা সারারাত জেগেই কাটাতেন এবং দিন বদলের স্বপ্ন দেখতেনকবে যে একটি স্থায়ী সুখের নীড় গড়বো।

মো: খোরশেদ আলমসহ তার পিতা-মাতার স্বপ্নপুরুণ হয় ২০২১ সালে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে মো: খোরশেদ আলমকে দুই শতক জায়গাসহ একটি দুই রুমের সেমিপাকা ঘর বুঝিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা সদর দপ্তর হতে  প্রায় ২.৫ কি,মি দূরে রাস্তার পার্শ্বের জমি হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় খোরশেদ আলমসহ তার পরিবারকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যর জমি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তাদের আত্নবিশ্বাস যোগায়। অনুপ্রাণিত করে ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ার।

একটি স্থায়ী বাসস্থান হওয়ার পর খোরশেদ আলমের পরিবার মনোযোগী হয়ে ওঠে নিজের সংসারটিকে গুছিয়ে নেওয়ার। যেহেতু অন্যের জায়গায় থাকার কারণে যে টাকা ভাড়া প্রদান করতেন তাসঞ্চয় করে খোরশেদ আলম তার বৃদ্ধ পিতাকে একটি মুদি দোকানঘর ও বৃদ্ধ মাতাকে দুইটি ছাগল ক্রয় করে দেন। একটি সুন্দর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বসবাস করার ফলে খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী মোছা: রোজিনা বেগম, ঘরের বাহিরে  বাড়তিঅর্থ উপাজনের জন্য যেতে থাকেন। দুইজনের উর্পাজনের টাকায় ধীরে ধীরে পাল্টে যেতে থাকে খোরশেদ আলমের পারিবারের স্বপ্ন। যেই পরিবার আগে অসহায় সম্বলহীন অবস্থায় দিনকাটাতো তাদের পরিবারে এখন ‍সুখের  ছোঁয়া। সন্তান ও বৃদ্ধ-পিতার মাতার আবদার পূরণ করতে ঘরে এনেছেন টেলিভিশন ও আধুনিক মানের বেড। আগে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো এখন তারা চার জন উর্পাজন করছেন। খোরশেদ আলম ও বৃদ্ধ মাতার পান খেতে খেতে  নিজেদের বদলে যাওয়ার গল্প বলার সময় তার দু-চোখে চিকচিক করছিলো আনন্দের আলোকছটায়। বারবার করে প্রাণভরে দোয়া করছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আর ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন এই মহৎ কাজের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষকে। খোরশেদ আলমসহ তার বৃদ্ধ-পিতা মাতা জানান যে, এই মহতী উদ্যোকে কাজে লাগিয়ে যেকোন পরিবারের পক্ষেই সম্ভব নিজেদের ভাগ্যকে বদলে দেয়ার এবং একটি নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র পেয়েছেন বলে বারবার কৃতষ্ণতা স্বীকার করেন ।