• বিভাগঃ বরিশাল
  • জেলাঃ ঝালকাঠি
  • উপজেলাঃ রাজাপুর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ গালুয়া

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন সাতুরিয়া। সেই সাতুরিয়া গ্রামের ও হাজউদ্দিনের পাঁচ পুত্র তিনি কন্যার মধ্যে আব্দুল জলিল সর্বকনিষ্ঠ। সামান্য কিছু জমি যা ছিলো ওহাজউদ্দিনের তা দিয়ে ভালোই সংসার চলতো। কিন্তু, কনিষ্ঠপুত্র আব্দুল জলিলের ১৩ বছর বয়সে বাত জ্বরসহ আরও কিছু জটিল রোগ ধরা পড়ে। সেই রোগে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত দুটি পা অচল হয়ে যায়। পঙ্গু হয়ে যান আব্দুল জলিল। চিকিৎসার খরচ জোগাতে বিক্রি করতে হয় কৃষিজমি এবং আব্দুল জলিলের অংশের ভিটে টুকুও। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই চলৎ শক্তি হারিয়ে ফেলায় পড়াশুনাও এগোয়নি বেশিদূর। ঘরে বসে বসে অক্ষর জ্ঞান নিয়েছিলেন কিন্তু সহায় সম্বলহীন আব্দুল জলিলের সামান্য ছাতা সারাইয়ের কাজ করে ঘরভাড়া দিয়ে হাতে থাকতোনা কোন টাকা। ফলে নিজের কোন দোকান করতে পারেননি। পঙ্গু আব্দুল জলিল রোদ বৃষ্টিতে রাস্তায় বসে ছাতা সারাইয়ের কাজ করতেন। আব্দুল জলিল ও পারুল বেগম হিমশিম খাচ্ছিলেন এই জীবন নিয়ে। এই হতদরিদ্র ভূমিহীন-গৃহহীন পঙ্গু পরিবারের মুখে হাসি ফোটে মুজিববর্ষে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের হাত তাদের মাথার উপরে পড়ে।

 

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নে চারাখালী বাজার সংলগ্ন গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে প্রায় চারলক্ষ (৪০০০০০) টাকা মূল্যের একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর ও সেই সাথে দুই শতাংশ জমি পেয়ে তিনি এখন অনেকটাই সাবলম্বী। নিজের ঘরের বারান্দায় উপজেলা প্রশাসন হতে অর্থ  সাহায্য পেয়ে তিনি একটি ছাতা সারাইয়ের দোকান দিয়েছেন। দোকান ভাড়া বা ঘর ভাড়ার টাকা দিতে হয়না বলে রোজগারের টাকা হতে কিছু সঞ্চয় ও করতে পারেন। আব্দুল জলিল এখন হাসতে শিখেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য কৃতজ্ঞতা ভরে দোয়া করেন।