• বিভাগঃ রংপুর
  • জেলাঃ কুড়িগ্রাম
  • উপজেলাঃ রাজারহাট
বাপ্পী দাস তার স্ত্রী-কণ্যাসহ তিন সদস্যের পরিবার। রাজারহাট উপজেলার মীরের বাড়ি আশ্রয়ণকেন্দ্রে সুখের সংসার গড়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ঘর পাওয়ার আগের কথা জানতে চাইলে ছলছল করে ওঠে বাপ্পী দাস ও পারুল রাণির চোখ। কিভাবে বাজারের এক কোণায় কোনোরকমে ঝুপড়ি ঘরে কষ্ট করে থাকতেন| পারুল রানীর স্বামী সারাদিন উপার্জন করতে ঘরের বাইরে থাকতো। শীত কিংবা বৃষ্টিতে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন। স্বপ্ন দেখতেন পাকা ঘরে বসবাসের। তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণের ঘর উপহার পাওয়ার মধ্য দিয়ে।
বাজারের এক কোণায় সেই ঝুপড়ি ঘরের অনিশ্চয়তা দূরীভূত হয় ০২ শতক জায়গা ও সেমিপাকা ঘরের মালিকানা নিশ্চিত হবার পরে; যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪,২০,০০০/-। বাপ্পী দাস এখন বাজারে মাথা উঁচু করে প্রতিনিয়ত সেলুনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে পেরে স্বস্তি লাভ করেছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। বাপ্পী দাসের ঘর ও জমি নিয়ে আর কোন চিন্তা নাই। সে শুধু ইনকাম করে মূলধন বাড়াতে উৎসাহী। বাপ্পী দাস তার নিজের আয়ের অর্থ দিয়ে মোটর সাইকেল ক্রয় করেছে। তার পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।