• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ চট্টগ্রাম
  • উপজেলাঃ হাটহাজারী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ গুমানমর্দ্দন

জেলা: চট্টগ্রাম

উপজেলা: হাটহাজারী

উপকারভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নাম: পেশকারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প

১। উপকারভোগীর বর্ণনা : হোসনেয়ারা বেগম, বয়স: ৩০, স্বামী মো: আইয়ুব (পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী), ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে তার সংসার।

 ২। উপকারভোগীর পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন : নিজের ও স্বামীর কোন জমি ও ঘর না থাকায় চাচার বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে ছিলেন। স্বামী রাজমিস্ত্রীর সাথে দিনমজুর হিসেবে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করতেন। প্রতিদিন কাজ থাকে না ফলে আয়ও থাকে না। যার দরূন পাড়া-প্রতিবেশীর বাসায় কাজ করে কোন কোন দিন অর্ধাহারে কোনরকম বেচেঁ ছিলেন। নিজের এবং স্বামীর অর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় যাদের ঘরে আশ্রিতা ছিলেন তার এবং আশেপাশের কোন লোকজনই তাদের মূল্যায়ন করতেননা। সব সময়ই খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ বা বাশিঁ খবারগুলোউ তাদের দেয়া হতো। নিজের সামান্য আশ্রয়ের জন্য জন্য অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন কিন্ত কারো কাছে কোনো সহায়তা পাননি।

 ৩। উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য : ২,৫০,০০০/- টাকা।

 ৪। ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে কেমন আছেন: ২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে হাটহাজারী উপজেলায় নির্মিত পেশকারহাট আশ্রয়ণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার শতক  জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়েছেন সাহায্যের হাত। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের সামনের বারান্দায় শীতলপাটি তৈরী করে বাজারে বিক্রি করেন। তার স্বামী আগের পেশা পরিবর্তন করে নিজের অতীত অভিজ্ঞতা ও রাজমিস্ত্রি কাজের কিছু সরঞ্জাম কিনে তিনি এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। এখন তার মাসিক আয় প্রায়: ১০,০০০-১৫০০০/- টাকার মত। তার আয় দিয়ে ভালভাবে সংসার খরচ ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ চলে। এছাড়া নিজের উপার্জিত অর্থ জমা করে রাখছেন। ভবিষ্যত আরো ভাল কোন ব্যবসা করার জন্য। সবোর্পরি নিজেদের সুন্দর আশ্রয়সহ স্বাবলম্বী হতে পেরে খুবই আনন্দিত ও সন্তুষ্ট। এত করে তাদের জবীনমান ও মাজাজিক মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।