• বিভাগঃ চট্টগ্রাম
  • জেলাঃ চট্টগ্রাম
  • উপজেলাঃ হাটহাজারী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ গুমানমর্দ্দন

জেলা: চট্টগ্রাম

উপজেলা: হাটহাজারী

উপকারভোগীর আশ্রয়ন প্রকল্পের নাম: পেশকারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্প

। উপকারভোগীর বর্ণনা : কেমা বড়ুয়া বয়স: ২৮ বছর। স্বামী সুজন বড়ুয়া (পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক) ও ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার।

 

২। উপকারভোগীর পূর্বের অবস্থায় কেমন ছিলেন: স্বামীর বাড়ি লোহাগড়া, সেখানে কোনো সহায় সম্বল নেই। তিনি বড়ুয়া হওয়ায় তাদের ধর্মীয় বিধান মতে বাপের বাড়ীর কোন সম্পত্তি তিনি পাবেননা। এরপরও নিজের বাবার বাড়িতে ভাই ও ভাইয়ের বউদের শত অত্যাচার সহ্য করে কোনোরকম খেয়ে পরে দিন পার করতেন। মেয়ের পড়া-লেখার খরচ চালাতে হিমশীম খাচ্ছিলেন।

 ৩। উপকারভোগীকে বরাদ্দকৃত ২ শতাংশ জমির বর্তমান বাজার মূল্য : ২,৫০,০০০/- টাকা।

 ৪। ঘর পেয়ে তিনি/তাঁর পরিবার বর্তমানে কেমন আছেন: তিনি সবসময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতেন যেন তাদের নিজস্ব একটি ঘর হয়২০২১ সালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে হাটহাজারী উপজেলায় নির্মিত পেশকারহাট আশ্রয়ণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ২শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে তার সেই প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে পূরণ করেছেন বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের পাশের আঙিনায় ছোট পরিসরে একটি দেশী মুরগীর খামার করেছেন। এই খামারের মুরগী ও মুরগীর ডিম বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন আর স্বপ্ন দেখছেন মেয়েকে শিক্ষিত করে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত করবেন। তার স্বামী একটি র্গামেন্স ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। তিনি যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালান। তার মুরগীর খামারের আয় ব্যাংকে জমা রাখছেন, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য।

এই আশ্রয় পেয়ে তিনি বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো আছেন ও সম্মানজনক জীবনযাপন করছেন।