• বিভাগঃ বরিশাল
  • জেলাঃ ঝালকাঠি
  • উপজেলাঃ রাজাপুর

সুমী বেগম সংগ্রামী জীবনে জয়ী হওয়া এক নারীর নাম। প্রায় পাঁচ বছর আগে দুর্বৃত্তের হাতে তার স্বামী প্রাণ হারান। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়িতে সামান্য যে জায়গা ছিলো, সেখানে ঠাঁই মেলে নিহত ভাগ্য সুমী বেগমের। সেই সময়ে তিনটি সন্তান নিয়ে অথৈ সমুদ্রে পড়েন তিনি। বরিশাল শহরে কখনও কারখানায়, কখনও গৃহকর্মীর কাজ করে ছোট একটি ঘর ভাড়া করে কোন রকমে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। অর্থকষ্ট, সেই সাথে নিরাপত্তাহীনতায়কাতরএই নারীর মাথার উপরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্নেহচ্ছায়া বর্ষিত হয়েছে।

 ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত বড়কৈবর্তখালী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে প্রায় ছয়লাখ (৬০০০০০) টাকা মূল্যের দুইশতাংশ জমিসহ একখানা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর পেয়ে তিনি এখন এক স্বাবলম্বী নারী। ঘরের পাশে শীম, লাউসহ নানান রকমের সবজি লাগিয়ে ছোটএকটু বাগান করেছেন। দারুন সবজি ফলেছে তার বাগানে। খাওয়ার পরে উদ্বৃত্ত থাকে। পড়শিদের ও খাওয়ান সেই সবজি। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন থেকে একটি সেলাই মেশিন পেয়ে সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা’র পক্ষে থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পাওয়া দুই শতাংশ জায়গা এবং একখানি ঘর ভাগ্য বদল করেছে সুমী বেগমের।