প্রকাশের তারিখ : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দিন শেষে আপন ঠিকানায় রাত কাটাতে পারি। নিজের ঘরে মন ভরে নিশ্বাস নিতে পারি। নিজ ঘরের আঙিনায় নিরাপদ সবজি চাষ করতে পারি। গোয়ালে গরু ছাগল লালন পালন করতে পারি। পুকুর থেকে মাছ ধরতে পারি। দুশ্চিন্তা মুক্ত নিরাপদ কর্মস্থলে যেতে পারি। ছিল আমার আকাশ-কুসুম কল্পনা। সেই আকাশ-কুসুম কল্পনা স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমি পেয়েছি আপন ঠিকানা

এই স্বপ্ন আজ বান্তবায়ন করেছে বাংলার মততাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কথাগুলো বললেন, মুজিব বর্ষের সুবিধাভোগী সালেহা বেগম। কথাগুলো বলতে বলতে চোখের পানি ছেড়ে দেন তিনি। চোখ মুছতে মুছতে আবারও বলেন, শুধু আমার মুখে হাসি  ফোটনি। হাসি ফুটেছে জেলার হাজার হাজার পরিবারের। হাজার হাজার বাবা-মায়ের। 
এসময় পাশে থাকা মুজিব বর্ষের সুবিধাভোগী রাবেয়া-রুবেল দম্পতি বলেন, নিজ এলাকায় থাকার মতো কোনো বাড়িঘর ছিল না। বাধ্য হয়ে দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভারে থাকতাম। অনেক কষ্ট করে রোজগার করতাম। তবে মুজিব বর্ষের ঘর পাওয়ার পর এখন আমি এলাকায় থাকি। একটি অটোবাইক ভাড়ায় চালাই। গাড়ি চালানোর পর দুটি গরু ৪টি ছাগল লালন-পালন করি। আমার নিজের ঘরের আঙিনায় রয়েছে সবজি বাগান। রয়েছে পেঁপে, কলা, পেয়ারাসহ অনেক প্রকার ফলের গাছ। 
শুধু সালেহা, বাবলু রাবেয়া-রুবেল দম্পতি নয়। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় ৬৭৯ জন মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে নিরাপদে জীবন-যাপন করছেন। 
শুধু এরা নয়। গোয়ালন্দ উপজেলায় ৬৭১ জন মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে নিরাপদে জীবন-যাপন করছেন। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ঘর উপযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে দিয়েছি। বসবাস উপযোগী জায়গায় ঘরগুলো তৈরি করেছি। ঘর তৈরিতে কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিটি ঘরের আঙিনায় সবজি বাগান করার ব্যবস্থা করেছি। এই ঘরে শুরু থেকে যে সুবিধাভোগীরা বসবাস করছে সার্বক্ষণিক তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। বসবাসকারীদের সুযোগ-সুবিধা দেখা হচ্ছে।