প্রকাশের তারিখ : ১২ জুলাই ২০২৩



গরীবের ঘরে আর বেড়ে উঠেছি খুবেই কষ্টে। আজ এটা যেনো আমার কাছে স্বপ্নের মতোই লাগছে।
অন্যের জমির উপর ছোট একটি টিনের ছাপড়ায় বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে কোনমতে বসবাস করেছি।
কখনই ভাবিনি আমার এমন একটা পাকা ঘরবাড়ি হবে। যেখানে সারাজীবন কাটাতে পারবো নিজের মতো করে।
ইউএনও স্যার (ময়নুল ইসলাম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘর দিয়ে আমাকে মাথাগোঁজার ঠাই করে দিয়েছেন।
আমি পেয়েছি নতুন করে বেচে থাকার স্বপ্নের বাড়ি।
এটা কখনই ভুলে যাওয়ার মতো নয়। চোখের কোণে আনন্দের অশ্রু নিয়ে কথাগুলো বলেছে
জলঢাকা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড চেরেঙ্গা  ডাকুর ডাঙ্গা বটতলীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া কাজলী আক্তার (৩২)।
তার মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচণ্ডী গ্রামের এক দিনমজুর ছেলে সেকেন্দার আলীর সাথে।
প্রায় ১৪ বছরের সংসার জীবনে মেলেনি সুখের দেখা।
তিন সন্তান নিয়ে অভাব অনাটন এবং স্বামীর নির্যাতনের পরেও সে চেয়েছিল ওই স্বামীর সাথে বাকি জীবনটা কাটাতে।
কিন্তু ভাগ্যে তা ছিলনা।
দু’বছর পূর্বে স্ত্রী সন্তান রেখে চলে যায় সেকেন্দার আর ফিরে আসেনি তাদের মাঝে।
নিরুপায় হয়ে কাজলী তার দরিদ্র বাবা’র বাড়িতে এসে পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করে দিন পাড় করে।
এখন সে তার মাথাগোঁজার ঠাই পেয়ে মনে আনন্দ ফিরে পেয়েছে।
শুধু কাজলী আক্তার নয়, এমন খুশিতে  আবেগাপ্লুত ৬২ বছরের বৃদ্ধা আসমা বেওয়া জানায়, সারাজীবন গেল অভাবে,
জমিয়ে নাই আর পাকাবাড়ির চিন্তা হামা করি নাই।
কিন্ত শেখ হাসিনা হামার মতো গরীবকে থাকার জন্যে পাকা ঘরবাড়ি করি দিছে তার জন্যে হামা সবসময় দোয়া করমো আবার যেনো শেখ হাসিনা সরকার হয়।
কাজলী এবং আসমা’র মতো জলঢাকা পৌরসভা সহ উপজেলার ১১টির মধ্যে ৩টি বাদে ৯টি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ -২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত  ১২৩২টি ঘর পেয়েছেন এখানকার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।
এ পরিবারগুলোর অতীতের গল্প ভিন্ন হলেও সামনের দিনগুলোর ভাবনা তাদের একই রকম। ঘরে বিদ্যুতের পাশাপাশি তাদের বসত আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হচ্ছে গাছপালা,
বাগান ও পানির সুবিদার জন্য টিউবওয়েল এবং পুকুর। এ সময় মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহারের ঘর পাওয়া উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ। এ প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল।
কারণ এভাবে কোনো দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ ছাদ তৈরি করা হয়নি।