প্রকাশের তারিখ : ২০ মার্চ ২০২৩



ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা। ২২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন ভূমিহীন-গৃহহীনদের জন্য সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় চার উপজেলায় ৬৯ টি পরিবারে দুই শতাংশ জমি ও একটি মুজিববর্ষের ঘর প্রদান করা হবে। সেইসাথে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

২২ মার্চ সকাল ৯ টায় ভ‚মিহীন-গৃহহীনদের মাঝে সারাদেশে হস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

"ভূমিহীন-গৃহহীন" পরিবারকে ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবার বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই প্রেস বিফিং ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপত্বিত করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ম্ঃো কবির হোসেন, আরডিসি মোঃ হুমায়ন কবির ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভুইয়া।

সভায় জানানো হয়, এবার ৪র্থ পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গায় মুজিববর্ষের ঘর পেতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদরে ২৬ টি, আলমডাঙ্গা ১৭টি, দামুড়হুদায় ১৫টি, জীবননগরে ১১ টি। আর চুয়াডাঙ্গা সদরে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে মিলে মোট ঘর পেয়েছে ২০১ টি, আলমডাঙ্গায় ১৯২ টি, দামুড়হুদায় ১৩৮টি, জীবননগরে ১৬৪ টি, এবার জেলায় মোট ঘর পেয়েছে ৬৯৫ টি পরিবার।

আশ্রয়ন প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে ঘর তৈরি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার, ২য় পর্যায়ে ১ লাখ ৯০ হাজার, ৩য় পর্যায়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার, আর ৪র্থ পর্যায়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল গরীব-দুঃখী নিঃস্ব মানুষের হাসি ফোটানো। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল হতে অসহায়, ছিন্নমুল, ভুমিহীন ও গৃহহীনপরিবার পুর্নবাসনে ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’ কার্যক্রম শুরু করেন। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এরপর মুজিববর্ষে“ বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভুমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে একক গৃহ নির্মান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভুমিহীন পুর্নবাসন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রাকৃািতক দুর্যোগসহ অন্য যেকোন কারনে কেউ ভুমিহীন হলে পরবর্তীতে তাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আশ্রয়ন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উপসানলয়, ব্যবহার্য পুকুর, কমিউনিটি স্পেস, শিশুদের জন্য পার্ক নির্মানের প্যাকেজ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামীতে ‘খ’ শ্রেনীর পরিবারের জন্য জেলায় যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদের নতুন ঘর দেওয়া হবে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত থাকবে। আর আগামি ২২ মার্চ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

৪র্থ পর্যায়ে ৬৯টি “ভুমিহীন-গৃহহীন” পরিবার পূর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে আপাতত আর কোন ভুমিহীন গৃহহীন’ পরিবার না থাকায় জেলাধীন স্থানীয় রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং জেলার ২ জন সংসদ সদস্যদ্বয়ের সম্মতিক্রমে জেলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটিতে প্রাপ্ত প্রস্তাবসমুহ উপস্থাপন শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপারিশ সহকারে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে “ভুমিহীন-গৃহহীন” মুক্ত ঘোষনা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সে মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলা সদর, আলমডাঙ্গা,দামুড়হুদা ও জীবননগর তথা চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ২২ মার্চ ‘‘ভুমিহীন-গৃহহীন” মুক্ত ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যাযাদি/ এম