প্রকাশের তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৩

ঘর পেয়ে শুধু লাকি খাতুন নয়, এমন আনন্দ ও খুশিতে আত্নহারা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় নির্মিত সেমিপাকা ঘর পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় ১৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের। উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা ১৩টি ঘর, বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল ও মাধাইনগর ৬টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় ১৯জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে বিনামূল্যে জমি ও রঙিন টিন দিয়ে আধাপাকা ঘর করে দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে তাদেরকে জমির উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য উপহারের ঘরে থাকছে ২টি থাকার কক্ষ, ১টি রান্না ঘর, ১টি করে উন্নত টয়লেট ও ১টি বারান্দা। প্রতিটি ঘর নির্মান ব্যায় হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা করে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিনা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে পেয়ে আবেগাপ্লাতু মোছাঃ পালনী বেওয়া নামের (৬৫) বছরের বৃদ্ধা জানান, সারাজীবন অভাব-অনটনের সংসারে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। পাকাবাড়ি বানানোর চিন্তা কোনোদিন করেননি। কিন্ত শেখ হাসিনার সরকার ও ইউএনও সাহেবের জন্য বিনামূল্যে জমি ও ঘর পেয়েছি। শেষ বয়সে রঙ্গিন টিনের আধাপাকা ঘরে থাকতে পারছি। আমি সব সময় শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি। মোছা: ফুলেরা বেগম (৭০) বলেন, “খেয়ে না খেয়ে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভাঙ্গাচোড়া ঘরে বসবাস করেছি। আমি এখন খুব সুখে আছি। কারন কখনো ভাবতে পারি নাই পাকাঘরে থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবো। আর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যেন সুখে থাকেন, আল্লাহ তাদের হায়াত দান করেন। যতদিন বেচে থাকবো ততদিন এই দোয়া করে যাবো। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারি খরচে মাথা গোজার আশ্রয়স্থল গড়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেজবাউল করিম স্যারের নির্দেশনায় আমার ইউনিয়নে প্রকৃত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা প্রণয়ন করে নিয়মমাফিক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছেন তাদেরকে ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় ১৯টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গুণগতমান বজায় রেখে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ঘরগুলোর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহহীনদের একটা মানসম্মত ও টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য আমরা সবসময় তদারকি করছি।