
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে
এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ সময় আরো
উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সনদে সৃজনশীল কর্মের প্রণেতা (স্বত্বের অংশ)
হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’ এবং সৃজনশীল কর্মের স্বত্বাধিকারী
(স্বত্বের অংশ) হিসেবে ‘শেখ হাসিনা’র নাম উল্লেখ করা
হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে
প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখেছেন,
বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। আশ্রয়ণ নিয়ে তার যে ধারণা, এ ধারণা কিন্তু ‘টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা’র আটটি ধাপ অতিক্রম করেছে। একটি ঘর দেওয়ার ফলে
যারা বসতিতে আছে, তাদের জীবিকা হচ্ছে। নারীর জন্য জমির মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে,
ঘরের মালিকানা নিশ্চিত হচ্ছে। তার (শেখ হাসিনা) এই ধারণাটি আমাদের একটি মৌলিক
ধারণা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন
করেছেন বলে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, এ আশ্রয়ণের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, মানুষের
দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জীবনমানের উন্নয়ন। আশ্রয়ের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক ও
সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ১৯৯৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তিনি ২৮ লাখ মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নানাবিধ উদ্যোগ,
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সহযোগিতায় এই পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ
আশ্রয়ণে আশ্রয় পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে যারা দরিদ্র অথবা
দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছেন তাদের জীবন মানের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পেশাগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, পুষ্টিসহ সকল
ক্ষেত্রে আশ্রয়ণের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের কারণে আমরা মনে করি
সর্বশেষ যে রাষ্ট্রীয় সমীক্ষা, যেখানে চরম দারিদ্রসীমার নিচে জনসংখ্যা শতকরা ১০
ভাগ থেকে ৫ দশমিক ৮-এ নেমে এসেছে। এটি মূলত আশ্রয়ণের নানামুখী উদ্যোগের কারণে।
আশ্রয়ণ শুধু একটি ঘর নয়, মানুষ যেমনি নিজের ঠাঁই পেয়েছে, একই সঙ্গে দুই রুমের
পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ সংযোগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা
হচ্ছে। সর্বশেষ দরিদ্র জনসংখ্যার পরিমাণটা কমেছে, তার জন্য আশ্রয়ণের বিশাল একটা
ভূমিকা আছে বলে আমরা মনে করি।