• বিভাগঃ ঢাকা
  • জেলাঃ গোপালগঞ্জ
  • উপজেলাঃ গোপালগঞ্জ সদর
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ দুর্গাপুর

লাকী বেগম (৩৮) ২০০০ সালে বাবা মায়ের ইচ্ছাতে বিয়ে করেন। তার শশুর বাড়ী ময়মনসিংহ। বিয়ের পর থেকে ৭মাস পর থেকে স্বামীর সাথে মনোমালিন্য শুরু হয়। এর মধ্যে জন্ম নেয় তার প্রথম কন্যা আশা মনি। প্রথম কন্যা জন্ম নেওয়ার পরে স্বামী ভালবাসতে শুরু করেন এবং সংসার করতে থাকেন। প্রথম সন্তানের বয়স ১ বছর এর মধ্যে তিনি ২য় বার অন্তঃসত্ত্বা হন এবং ২য় সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই স্বামী কতৃক তালাক প্রাপ্ত হন। চলে আসেন বাবার বাড়ী গোপালগঞ্জে। বাবা মায়ের সাথে জরাজীর্ণ ভাড়া বাড়ীতে থাকেন। খুবই কষ্টের সাথে জীবন জ্ঞাপন করতে থাকেন। বিয়ের ২ বছর পার হতে না হতেই অসহায়, নির্যাতিতা, নিপীড়িতা লাকীর নামের সাথে যোগ হয় আরো দুইটি পরিচয় স্বামী পরিত্যক্তা ও আশ্রয়হীনা। বাবার বাড়ীতে এসে লাকী প্রথম পর্যায়ে কৃষি জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, কৃষি জমিতে কাজ করেত গিয়ে আশ্রয়হীনা লাকীকে সহ্য করতে হয় নানা মানুষের কটুক্তি ও কুপ্রস্তাব। এ সময়ে স্বামীর পরিবারের কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়নি। পরবর্তীতে লাকী মানুষের বাড়ীতে রাজমিস্ত্রির লেবার হিসাবে কাজ করে এবং অদ্যাবধি রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষের দৃঢ় অঙ্গীকার ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়ীয়াতে নির্মিত ঘরের একটিতে এখন বসবাস করেন লাকী বেগম। আশ্রয়হীনা লাকী বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন আশ্রয়। যার ঘরে ছিল না খাবার পানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনবদ্য উদ্যোগে তার ঘরের পাশেই রেইন ওয়াটার ট্যাংক স্থাপন করা হয়। লাকী যে টাকা দিয়ে বাড়ী ভাড়া দিত সেই টাকা জমিয়ে নিজের ঘরে আলমারী, খাট, ফ্রীজ কিনেছেন। লাকী এখন ছেলে মেয়ে ও নিজের মা কে নিয়ে সুখে বসবাস করেছেন। লাকী তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে বলা হলে কান্নাভেজা কন্ঠে বলেন, মাথা গোঁজার ঠাই হওয়ায় এখন আর কেউ বাকী বাসা ভাড়ার জন্য ঘর ছাড়ার হুমকি দিতে পারে না। এখন আমার নিজের বাড়ী আছে। শেখ হাসিনারে আল্লাহ ভালো রাখুক, যতদিন বেঁচে থাকব আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করব।