• বিভাগঃ খুলনা
  • জেলাঃ মেহেরপুর
  • উপজেলাঃ গাংনী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ সাহারবাটী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত আরজান আলীর মেয়ে বৃদ্ধা শুখজান বেগম।  দুইটা মেয়ে একটি নাতনি নিয়ে ৩০ বছর যাবত অন্যের জমিতে আশ্রিত ছিলেন। ভাঙ্গা ও জরাজীর্ণ পাট কাঠির বেড়ার একটি ঘরে বসবাস করতেন পুরো পরিবার। দীর্ঘদিন পরে আশ্রয় দাতা স্থানীয় জমির মালিক বৃদ্ধা শুখজন বেগমকে দুই এক মাসের মধ্যেই জমি ছেড়ে দিতে বলেন। জমির মালিকের কথামতো জমির দখলদারি ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। শুখজান বেগমের সংসারে রোজগারের মানুষ না থাকায়, হাঁস, মুরগি আর ছাগল পালন করে কোন রকমের সংসার চলত শুখজান বেগমের। তাছাড়া প্রতিমাসে ঘর ভাড়া গুনতে তাকে হিমশিম খেতে হতো। নিজের জায়গা জমি না থাকায় কোথাও মাথা গোজার ঠাই করতে পারেননি তিনি। বয়সের ভারে নূইয়ে পড়া ওই বৃদ্ধার জীবনের বহুদিন থাই ঠিকানা তৈরির অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে তিনি মুজিব বর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে জমিসহ ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করলে, যাচাই-বাছাই শেষে শুখজান বেগমের নামে দুই শতক জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। ২ শতক জমি ও ২ লাখ টাকা মূল্যের পাকা বাড়ি পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয়ন-2 প্রকল্প  এর ঘরে আনন্দে বসবাস করছেন তাকে আর অন্যের দ্বারস্থ হতে হয় না। দিতে হয় না বাড়ি ভাড়া। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি নিজের একটি ঠিকানা পেয়েছেন। হয়েছেন জমি ও বাড়ির মালিক।


সুখজান বেগম জানান, সারা জীবন চেষ্টা করেছি একটি নিজস্ব মাথা গোজার ঠাই করার। কিন্তু করতে পারিনি । অন্যের জমিতে দুঃখ কষ্ট সহ্য করে জীবন যাপন করেছি। প্রতি রাতে বিছানায় শুয়ে ভাবতাম এত বড় দুনিয়ায় আমার এক টুকরা জায়গা নেই। আমি মরার পরে আমার মেয়ে ও নাতনিরা থাকবে কোথায়? আমার জমি হবে, একটি বাড়ি হবে, এমন কথা কোনদিনও কল্পনাও করতে পারিনি। সব আশা ছেড়ে দেবার পরে, শেখ হাসিনা আমাকে জমি দিয়েছে। সেই জমিতে ইটের তৈরি সুন্দর পাকা বাড়ি করে দিয়েছে। শুধু কি তাই সরকারি খরচে বিদ্যুৎ দিয়েছে। আমার সারা জীবনের ভাবনা আজ বদলে গেছে । আমি আর কয়দিনই বা বাঁচবো। এখন তৃপ্তি নিয়ে নিজের বাড়িতে বসবাস করতে পারি। আমার সারা জীবনের ভাবনা আজ অবসান হয়েছে। ভাবনা চিন্তার অবসান এবং সুন্দর একটি বসবাসের জায়গা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করে বৃদ্ধা শুখজান।