• বিভাগঃ খুলনা
  • জেলাঃ মেহেরপুর
  • উপজেলাঃ গাংনী
  • পৌরসভা/ইউনিয়নঃ বামন্দী

নিজের জায়গা জমি নেই, বাবা-মায়ের ছিল না। ছেলে মেয়ে নিয়ে ধাক্কা খেয়ে যাই যাযাবর এর মত ভ্রাম্যমান জীবন যাপন ছিল আমাদের। ভ্যান চালিয়ে আয় করা টাকায় শুধু সংসারের ডাল চাল আর পোশাক কিনতেই ফুরিয়ে যেত। প্রতিবেশীর এক বাঁশ বাগানে আশ্রয় নিয়ে কোন মতে জীবন যাপন করতাম। ২০২১ সালে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জমি ও ঘরের জন্য আবেদন করার পর আমার বিষয়ে অনেক খোজ খবর নিয়ে কয়েক মাস আগে দুই শতক জমি ও একটি সেমি পাকা বাড়ির নির্মাণ করে দিয়েছে। আমি এখন আনন্দে জীবনযাপন করছি। কল্পনাও করতে পারিনি আমি জমি ও বাড়ির মালিক হব।  দুই শতক জমি ও ঘরের মূল্য অন্তত 5 লাখ টাকা। সারা জীবন চেষ্টা করেও এতগুলো টাকা জোগাড় করতে পারতাম না। সারা জীবন ভূমিহীন হয়েই থাকতে হতো। এভাবেই জীবন যাপনের বর্ণনা করছিলেন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের দিনমজুর রাশিদুল ইসলাম।


ভ্যান চালক রাশিদুল ইসলাম বলেন, সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রাতে ঘুমাতে পারতাম না। ভাবতাম আমি একটু জমি কিনতে পারিনি। আমার ছেলে বড় হয়ে যদি জমি কিনতে না পারে আমার মত আমার ছেলে ও অন্যের কাছে ধাক্কায় ধাক্কায় জীবন কাটাবে ভেবে পাথর হয়ে যেতাম। ২০২১ সালের মজিব বর্ষে আমি জমিও ঘরের জন্য আবেদন করি। আমি দুই শতক জমিসহ একটি সেমি পাকা বাড়ি পেয়েছি। সেখানে সরকারি খরচের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এই ঘরে আমার ছেলে আশিক যখন পড়ার টেবিলে বসে বই পড়ে তখন মনে হয় শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগ শুধু আমার জীবনে বদলে দেয়নি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার দীর্ঘ আয়ু হলে আমার মত অনেকেরই ভাবনা দূর হবে।  বদলে যাবে দুস্থ সর্বহারা মানুষের জীবন ও দিন।